লেখক: ফাতিমা পারভীন
কল্পনা বর্তমান ভবিষ্যত নিয়ে হারিয়ে যায়
চোখের জলের চেয়েও করুণ মনে হয়
আমার দিন শেষে অপরাহ্নে সূর্যাস্ত হয়
অন্ধকারে জেগে থাকে, অকরুণ অবুঝ বাসনা
চোখের পাতায় আঁকতে থাকি সময়ের হিসাব
তুমি সন্ধ্যাকে টেনে হিঁচড়ে ফেলে যাও
স্মৃতির প্রতিচ্ছবি মুছে গোধূলির আলোয়
আমার অনুভূতিতে নতজানু হয়ে ওঠে
তোমার ছায়া- অবয়ব।প্রতিদিন নয় মাঝে মধ্যে কাঁচের মতোই ভেঙে যাওয়া মন অস্থির হয়ে ওঠে।
দিগন্তের অন্তহীন পথে হেঁটে যাই কুয়াশার নিঃসঙ্গ রাতে যেখানে তুমি ক্লান্তি শেষে দাঁড়িয়ে, থাকতে আজ সেখানে স্মৃতিরা তীব্র বিষাদে পরিপূর্ণ পুরনো ফুল বাগানের কণ্টকাকীর্ণ ডালে শেষ বিকেলে গোলাপ ছিঁড়ে বেরিয়ে যাও রংহীন স্মৃতিগুচ্ছ নিয়ে বারান্দায় মেঘের ছায়া পড়ে ধূসর মলাটে একাকী অষ্টপ্রহর কাটে আমার শুকনো গোলাপের পাপড়ি ভেঙে ব্যালকনিতে তোমার প্রতিচ্ছবি আসে।
বিরহের ক্যানভাসে মনের গহীনে
জীর্ণশীর্ণ অন্ধকার শুধু একটু বেঁচে থাকা নিছক অভিনয়ে অবসাদ নামে চোখের পাতায়, উচ্ছিষ্ট স্যাঁতসে়ঁতে অতীত মুখ থুবড়ে পড়ে বুকশেলফের পুরনো বইয়ের খাঁজে স্পর্শ করি মরিচা ধরা মলাটে অপমানে অবগুণ্ঠিত হয়ে পড়ি।
জলে-ডাঙায় কতটা ভিজেছিল একাল সেকাল যা বিভক্ত করতে পারিনি আজও,
শুধু অদ্ভুত বিপন্ন পৃথিবীতে সব স্মৃতিরা বিষণ্ণ আকাশে অতৃপ্ত অনুভূতি নিয়ে দূরে চলে যায়
আমার শূন্যতা থেকেই যায় তোমাকে ঘিরে।
লেখক:
ফাতিমা পারভীন।
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ। কলামিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন, রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার নেত্রী, সুশীল সমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় পরিচিত মুখ।