নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক বলেছেন, পলাতক আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা এখনও দেশে আছেন তারা ষড়যন্ত্র করছেন। পুলিশের তথ্যমতে পূজা উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৭টি বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ অবৈধ কাজ কারা করে এটা বের করা সহজ। তিনি বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগ-গুন্ডালীগের হাতে অস্ত্র রয়েছে সেটা এখনও উদ্ধার হয়নি। তারা মন্দিরে হামলা করবে এটা পরিষ্কার।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সত্যের শক্তি আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক রাকেশ রহমান। মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, বিএনপি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, অপারেজয় বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, এখন কেনো মরিচের দাম ৭০০ টাকা হবে। এখনও কি আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট আছে। এখনও শাক-সবজির ওপরে হাত দেওয়া যায় না। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানান, সচিবালয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের পেতাত্মাদের বের করতে না পারলে চক্রান্ত থামবে না।
এটা করতে না পারলে সুনাম নষ্ট হবে। কারণ আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে অস্ত্র আছে, অবৈধ টাকার মালিক তারা। তারা ষড়যন্ত্র করে মরিচের দাম বাড়াবে, মন্দিরে হামলা করবে। এরা বাজার সিন্ডিকেট করবে। আমরা বলবো তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া উচিত। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। যাতে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের ধারণা তাদের না থাকে। যারা ক্ষমতা দখল করে বলেছিল ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে হাসিনার কাছে ক্ষমতা দিয়ে যায়।