ষ্টাফ রিপোর্টার: জুঁই আক্তার
ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। নতুন বছরে জানুয়ারির শুরুতে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দামও কেজি প্রতি নেমে আসে ৮০ টাকায়। তবে আবারও নতুন করে বাজারে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। খুচরা বাজারে দাম বাড়তে বাড়তে আবারও শতক হাঁকিয়েছে পেঁয়াজের কেজি।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দামবৃদ্ধির এ চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারের বেশিরভাগ দোকানেই নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। পুরনো পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রামপুরা বাজারে বিক্রেতা এনামূল হোসেন বলেন, মুড়ি কাটা শেষ, নতুন হালি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে কিছুদিন সময় লাগবে। মোকামে দাম বেড়েছে। পাবনায় প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩২০০ থেকে ৩৪০০ টাকা কেনা পড়ছে। যা আগের থেকে ৪০০ টাকা বেশি। মূলত গতকাল থেকেই এমন দাম বেড়েছে।
এদিকে, পাবনায় স্থানীয় বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে সেখানে বিভিন্ন হাটে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৬০-৭০ টাকায়। সাঁথিয়া উপজেলার করমজা চতুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে একই পেঁয়াজ এখন ৭৫-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগাম পেঁয়াজের উৎপাদন শেষ হয়ে আসার কারণে গত তিনদিনে পাবনার বিভিন্ন উৎপাদন সংশ্লিষ্ট এলাকায় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কৃষক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এখন আগাম বা মুড়ি কাটা জাতের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মাস দেড়েক আগে এই পেঁয়াজ হাটে উঠেছে। সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার কৃষকেরা যে মুড়ি কাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন, তার বেশিরভাগই এরই মধ্যে তোলা হয়ে গেছে। ফলে বাজারে এই জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। এ কারণে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, মাসখানেকের মধ্যেই প্রধান জাত হালি কাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। তখন দাম আবার কমে আসবে।