নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচ.এম.বিল্লাল হোসেন রাজু
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, তবে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিকে স্বল্প সময়ে ব্যবধানে খালেদা জিয়ার বার বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ভোরে হঠাৎ করে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে।
দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. একে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে, তাকে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। ১০ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিলো।
এর আগে গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে দলটির নেতারা বলছেন, হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার এক সপ্তাহ এখনও পার হয়নি। তার মধ্যে আজ ভোরে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, এতে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে দিন দিন বেড়েই চলেছে অসুস্থতা।
ফলে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, বিএনপি নেতারা বলছেন আমরা ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেও। সরকারের থেকে ম্যাডামের সুচিকিৎসা সেবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। সরকারও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না।