নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের কল্যাণ সাধন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় কিছুটা পিছিয়ে আছি। আমাদের ডাক্তার সাহেবরা শুধু প্র্যাক্টিস করে আর টাকা কামাই করে, গবেষণার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয় না। এখন গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সেশনজট। শিক্ষার পরিবেশটাই নষ্ট করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রছাত্রী ছিলই না বলতে গেলে। ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর আমরা জোর দিই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিই। যাতে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয়।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা আমাদের অত্যন্ত দরকার। আগে গবেষণায় কোনো বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো না। ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে গবেষণার জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিই। কৃষি গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দিই। কারণ তখন আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ত্রিশ লাখ টন। তারপর থেকে প্রতি বাজেটে আমরা প্রযুক্তি শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া শুরু করি। এভাবেই আমরা কাজ করে যাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।