গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে লাখো মুসল্লির সমাগম হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান রাখছিলেন মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। ময়দান জুড়ে নেমে আসে পিনপতন নিরবতা।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টির ঢল নেমে সেই নিরবতাকে ভেঙ্গে দেয়। এক পর্যায়ে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকলে মুসল্লিরা দিকবিদিক ছোটাছুটি করে যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ ময়দানের চারপাশের বহুতল টয়লেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উড়াল সড়কের নিচে, কেউ কেউ আবার ময়দানেই পলিথিন মুড়ি দিয়ে বসে ছিলেন।
সরেজমিন ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ময়দানের অনেক খিত্তায় পানি জমে গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের মধ্যে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে অনেকের বেডিংপত্র ভিজে গেছে। মুসল্লিদেরকে নিজ নিজ খিত্তার পানি সেঁচতে দেখা গেছে। ভেজা কাপড় চোপর নিয়ে তাদের রাত্রিযাপন কষ্টকর হয়ে যাবে বলেও অনেক মুসল্লি জানিয়েছে। অনেকে আবার পুরো ময়দানে টিনের ছাউনি দেওয়ার দাবি জানান।
রংপুর থেকে আমির আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে আশরাফুল ইসলাম, শাহিন, বাচ্চু মিয়াসহ ৫২জনের একটি জামাত ময়দানের ৩৫নং খিত্তায় (খুটি নং-১৬১৩) অবস্থান নিয়ে মুরুব্বিদের বয়ান শুনছিলেন। তারা জানালেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টায় বৃষ্টি ঢল শুরু হয়। এতে আমাদের প্রয়োজনীয় ইস্তেমায়ী সামানা ও কাপড় চোপর ভিজে গেছে। আল্লাহ হেফাজতকারী।
এদিকে বগুড়া থেকে এসেছেন মানসুরুল মিয়া, মোকসুদুর রহমানসহ ২০জনের একটি জামাত। তারা জানান, পুরো ময়দানে টিনের ছাউনি দেয়া হলে হয়তোবা আমাদের এতো কষ্ট হতো না। সরকারের এ বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রথমপর্বের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, হঠাৎ করে সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ায় মুসল্লিরা কষ্ট করছেন। তবে আল্লাহর রাস্তায় যারা কাজ করছেন, আল্লাহই তাদের হেফাজত করবেন।