নিউজ ডেস্ক:
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সংবর্ধিত করলো হৃদয়ে খুলনা। ৭ টায় রাজধানীর কাওরানবাজার হোটেল সুপার স্টার লিমিটেড এর ২য় তলায় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. পারভেজ মল্লিক এর সভাপতিত্বে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংগঠক হৃদয়ে খুলনার এডমিন শহিদুল ইসলাম (সাবেক ভিপি),মতিয়ার রহমান মতি,এডভোকেট মাহাতাবুর রহমান, এডভোকেট এম এস এ মনির, এড.মাহাতাব কল্লোল সালেহীন,মোহাম্মাদ মুনিম,আফসার হোসেন শিপলু,নাজমুস ছাকিব,সাবেক ছাত্রনেতা জিলানী সাইদ,ওয়াহিদুজ্জামান নান্নু,জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো.মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মোয়াজ্জেম হোসেন, শহিদুর রহমান তুহিন।
অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড.কাজী মনির,প্রফেসর স্বপন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিবা ইসলাম তামীম।
কৃতি ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ ইবনে একরাম ওয়াসি। অনুষ্ঠানে খুলনার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী এ,কে জাহিদ ও তার গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মরিয়ম মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট'কে হৃদয় খুলনার পক্ষ থেকে স্মারক সম্মাননা ও সাটিফিকেট প্রদান করা হয়।
জিপিএ-৫ সংবর্ধনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন শামীম। অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন উপস্থিত সকলে এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ২৫ জন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পবিত্র কোরআন শরীফ সহ আরো ৭ টি উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
সাবেক ভিপি শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের এই মেধাবীদেরকে তাদের জ্ঞানের পরিধি শুধু পুথিগত জ্ঞানের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, বরং তাদেরকে নৈতিকতা ও দেশ প্রেমের জ্ঞান ও শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাদেরকে একথা বুঝাতে হবে যে তাদের এই দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বজ্ঞানের গুরুত্ব কতটুকু। কারণ যারা শুধু মেধার দিয়েই দেশ পরিচালনা করছে তাদের মাঝে দুর্নীতি ও নৈতিকতার স্থলন বেশী হচ্ছে। আমাদের দেশে কোনো শ্রমিক দুর্নীতি করে না দুর্নীতি করে উচ্চ ডিগ্রিধারী লোকরাই। সুতরাং মেধা, দেশপ্রেম ও নৈতিকতার সম্বনয়ে মেধাবীদের গড়তে না পারলে দেশের উন্নয়ন হিতে বিপরীত হতে পারে। আর নৈতিকতা সত্যিের পথে চলা ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পারভেজ আলম জিপিএ-৫ অর্জন করায় শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা আজকে জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সফলতার সাথে অতিক্রম করেছে। তোমরা আজকে প্রত্যাশিত ফল লাভ করে নিঃসন্দেহে নতুন ভুবন গড়ার প্রত্যয়ে বিভোর।
তোমাদের ফলাফলে মা-বাবা, শিক্ষকদের সাথে হৃদয়ে খুলনাও আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস আগামীতেও এ সফলতা অব্যাহত থাকবে। তোমাদের এই অর্জনে জাতির প্রত্যাশার পরিধিও বেড়ে গেছে। তোমরাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। তোমরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার ক্ষেত্রে যেভাবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছো, সাথে সাথে নৈতিকতার ক্ষেত্রে যদি কৃতিত্ব অর্জন করতে না পারো তাহলে এই মেধা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগানো যাবে না। মেধার মূল্যয়ণ করতে হবে এবং এই মেধার মূল্যয়নের ধারায় এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তোলে এদেশের পথহারা মানুষের পাশে তোমাদের দাঁড়াতে হবে। তোমাদের মতো স্বপ্নচারী প্রজন্মকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক রূপে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে তোমাদের বাবা-মায়ের সাথে হৃদয়ে খুলনাও অংশীদার হতে চায়।
জাতীয় মানবাধিকার সমিতি'র চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মানুষ ও অন্য প্রাণীর মধ্যে বড় পার্থক্য হলো মানুষ নৈতিকতাসম্পন্ন জীব, অন্য প্রাণী তা নয়। প্রতিটি ধর্মেই তাই নৈতিকতার কথা বলা হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে। কিন্তু আজ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে নৈতিকতা তুলে দিয়ে নাচ, গান ও বেহায়াপনা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আজকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।তোমাদের এ কৃতিত্বের সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত মহান রব আল্লাহর কাছে। এই সফলতার কৃতিত্ব তোমার বাবা-মায়ের, তোমাদের উচিত তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।রাতের ডিনার করানোর মধ্যে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।