ষ্টাফ রিপোর্টার:
লেখক চিন্তক ও সমাজতাত্বিক ড.সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, কবিতা মাত্রেই গণতান্ত্রিক। তার একনম্বর কারণ কবির কারবার ভাষা নিয়ে। এক ব্যক্তির ভাষা বলে এই জগতে কোন পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা নাই, আর মানুষ যে মানুষ হয়েছে তা এই ভাষা বা বাকশক্তির কারণে ।
তিনি বলেন, কালের বিচারে কবিতার সঙ্গে গণতন্ত্রের একটি সম্পর্ক আছে । এই সম্পর্ককে ঐতিহাসিকও বলা যায়। তবে আধুনিক কালে ইতিহাস যখন প্রাচীন পুরাকথা বা মিথের স্থান দখল করেছে, তাই ইতিহাস সম্পর্কে একটু সাবধানতারও দরকার আছে।গত দুই শত বছরের কথাই যদি ধরি দুনিয়ার শত শত বড় কবি গণতন্ত্রের সংগ্রামে শরিক ছিলেন। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নই ছিল এই কবিকুলের সাধনা। এই সাধনা কোথাও সার্থক হয়েছে, কোথাও বা হয়েছে নিরর্থক । তবু কবিদের সংগ্রাম থেমে থাকেনি। সাম্প্রতিক ছাত্র গনআন্দোলন আক্ষরিক অর্থেই একটি সফল আন্দোলন, এখন এটার ফসল ঘরে উঠাবার পালা, আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে কবিতা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী কবিদের কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তৃতায় একথা বলেন।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সদস্য সচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কবি শাহীন রেজার সঞ্চালনায় আলোচনা ও কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন- কবি মতিন বৈরাগী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, নুরুল ইসলাম মনি, কামার ফরিদ, সিকান্দার কবীর, আরিফ মঈনুদ্দিন, ফেরদৌস সালাম, রফিক হাসান, কামরুজ্জামান, আসাদ কাজল, এবিএম সোহেল রশীদ, নুরুন্নবী সোহেল, শ্যামল জাকারিয়া, স ম শামসুল আলম, শহীদ আজাদ, সুমনা নাজনীন, লিন্ডা আমিন, কবি আবুল খায়ের, মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ অর্ধশত কবি।