নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুরে ভস্মিভুত হয়েছে পঞ্চগড়ের বোদা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। সেদিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে আগুন নেভাতে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রায়হানের বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগষ্ট এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সাদ্দাম ছাড়াও পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তা, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজিয়া ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসানসহ নেতৃবৃন্দের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কোন ফায়ার স্টেশনের গাড়ি মুভমেন্ট করেনি।
এদিকে, স্টেশনের গাড়ি পুরে যাওয়ায় জরুরি মুভমেন্টে বিঘ্ন ঘটবে বলছেন স্থানীয়রা।
একটি সূত্র বলছে, পরিচালকের নির্দেশনা অমান্য করে সেদিন মুভমেন্ট করেছিলো বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওই গাড়িটি। ফলশ্রুতিতে জনরোষে পুরে ভস্মিভুত হয়েছে গাড়িটি। নষ্ট হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী বলেন, আমরা সেদিনে বের হতে চাইনি। পঞ্চগড়ের অন্য উপজেলাগুলোও বের হয়নি। যদিও সবখানেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কর্মকর্তার সঙ্গে সাদ্দামের পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে এই স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রায়হান বলেন, সাদ্দামের পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়টি সঠিক নয়। একটি গ্রামে আগুন লাগছে, ওই গ্রামের লোকজনের অনুরোধে মুভমেন্ট করেছি। গাড়িটি আগুনে পুরেছে, আমাদের উপরও হামলা হয়েছে।
দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।