ঢাকা প্রতিনিধি:
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কমিটিকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে। রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ৫ম তলায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নাহিদ গুলনার ইভা।
সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয় এবং আগামী দিনে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এসময়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক কার্যক্রমকে জাতীয় পর্যায়ে আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দ সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জিসাসের কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। তারা সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, সভাপতি নাহিদ গুলনার ইভার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধারণ করে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রত্যয়। মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তর জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নিজ নামে গঠন করা সংগঠন জিসাস।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) একটি অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম ও গণতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত করা। সংগঠনটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে ভিত্তি করে ১৯৯২ সালে মরহুম আবুল হাসেম রানা নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে।
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা, গণতান্ত্রিক চেতনার প্রচার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারণাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা।জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রেরণায় কাজ করা।যুবসমাজকে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা তাদের মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ও অবদানকে ধরে রাখা। তার কর্ম, জীবনদর্শন এবং দেশপ্রেমের বার্তাকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া জিসাসের মূল লক্ষ্য।