নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচনের পর আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ সরকার। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন গভীর সংকটে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমতসহ গণতন্ত্রের সব নিয়মপদ্ধতি ও নাগরিক স্বাধীনতা চিরতরে মুছে ফেলার জন্যই যত্রতত্র রাষ্ট্রের পেশি শক্তিকে ব্যবহার করছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ সার্বিকভাবে প্রস্তুত বলে দাবি করেন তিনি।
রোববার (১০ মার্চ) বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত, এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়ার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ এবং পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে সংহত করতে সারা দেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর যে জুলুম চালাচ্ছে, তার সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটল আবুল খায়ের ভূঁইয়ার জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ এবং অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। তিনি অবিলম্বে আবুল খায়ের ভূঁইয়া এবং অধ্যাপক আলমগীর হোসেনের মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে, তখন আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদলের শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলায় আটকের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে। পণ্যমূল্যের অত্যাধিক বৃদ্ধিতে দুর্বিষহ জনজীবনে নেমে এসেছে এক গভীর অন্ধকার।
প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সব অপকর্মকে আড়াল করার জন্যই নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়াকে এখন নিয়মে পরিণত করা হয়েছে। আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।