বিশেষ সংখ্যা ৩৬৫ দিন ৩
দক্ষিন জনপদের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে কজন প্রতিশ্রুতিশীল নেতা তরুণ বয়স থেকেই জনগণের জন্য কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মোল্লা অন্যতম, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নেতৃত্বের গুণাবলির মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। পর্যায়ক্রমে ছাত্রনেতা থেকে উঠে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তরুণ বয়সেই চারবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করার বিরল সম্মান অর্জন করেন নজরুল ইসলাম মোল্লা। প্রতিটি মেয়াদে তিনি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছেন নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। তার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার এবং সেবামূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মোল্লার রাজনৈতিক জীবন শুধু নেতৃত্ব আর সাফল্যের গল্প নয়, এটি সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। বিগত দিনের ন্যায় গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার, হয়েও তিনি অদম্য মনোবল নিয়ে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি প্রথম সারিতে ছিলেন, দলের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। আওয়ামী দুঃশাসনের অত্যাচারিত হয়েও দল ও দেশের স্বার্থে তার অবদান প্রশ্নাতীত। রাজপথে তার দৃঢ় উপস্থিতি এবং ত্যাগী মনোভাব দলের তরুণ কর্মীদের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
নজরুল ইসলাম মোল্লা শুধু একটি নাম নয়, এটি একটি সংগ্রামী চেতনা বা নেতৃত্বের প্রতীক। তার মত নেতারা রাজনীতিতে সততা, আদর্শ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেন। ভবিষ্যতে তিনি দেশের রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা তার সহকর্মী ও জনগণের।
নজরুল ইসলাম মোল্লার জীবন ও কর্ম প্রমাণ করে। তিনি একজন সৎ, দক্ষ এবং জনসেবায় নিবেদিতপ্রাণ। তার মত নেতারাই বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন সাহসী নেতৃত্ব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাওয়া, বরগুনার মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে সর্বদা সক্রিয় এই মহৎ নেতার সার্বিক মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
লেখক, সাবেক ছাত্রনেতা এইচ.এম.বিল্লাল হোসেন রাজু।