পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে সহিদুল ইসলাম নামে এক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সহিদুল ইসলামের স্ত্রী উমামা বিন্তে ইব্রাহীম চারজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩১ জানুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, আটোয়ারীর ছোটদাপ এলাকার রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক, আশরাফ আলী ও লতিফা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সহিদুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে আটোয়ারী হাসপাতালের জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন দোকান ঘরে মডার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে বিভিন্ন আক্রান্ত রোগীর সর্ব রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা পরিচালনা করে আসছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে রফিকুল ইসলামের ঔষধের দোকান রয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা রোগীরা রফিকুলের দোকানে ঔষধ না নেওয়ার কারণে রফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আগত রোগীদের কে ফুসলিয়ে অন্যত্র ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে দালালীর মাধ্যমে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে রফিকুলকে একাধীক বার সর্তক করা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত না করে বাক বির্তক তৈরী হলে এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের বাসায় বিষয়টি আপোষ নিরসনের জন্য ডাকলে রফিকুলসহ সকল অভিযুক্তরা সহিদুলকে উচ্চ স্বরে অশ্লিল গালিগালাজ করিতে থাকিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সহিদুলকে মারধর করে। এসময় সহিদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উমামা বিন্তে ইব্রাহীম জানান, আমরা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবসা সুনামের সাথে করে আসতেছি। কিন্তু রফিকুল আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসতেছে। এবিষয়ে আমরা দুই পক্ষই এ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের বাসায় বসলে সেখানেই তারা আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
আটোয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, সহিদুলের স্ত্রী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখেছি উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় আইনজীবি আনিসুর রহমান উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধান করতে চেয়েছেন। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাহার