পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা ডাহুক নদী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন ৬টি ট্রাক্টর ট্রলি জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে রাব্বি সরকারি খাস জলমহাল ডাহুক নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর বালু উত্তোলণ ও পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহনে বিরুদ্ধে এক অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পাথর ও বালু পরিবহনের কাজে নিয়োজিত নদী গর্ভে অবস্তানকৃত ৬টি ট্রাক্টর টলি জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসেন। জানাযায় ভারতের সেবকপর্বত থেকে প্রবাহিত হয়ে ও শনপুর তুলশিয়া বিলের পাশ দিয়ে ডাহুক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তেঁতুলিয়া উপজেলার ৪নং শালবাহান ও ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা ছোট নদী টি বাংলাদেশের প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করেছে। সরকারি খাস জমি ও জল মহাল অন্তর্ভূক্ত ডাহুক নদীর গর্ভে অবৈধ ভাবে একটি চক্র পাথর ও বালি উত্তোলন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন সহ আশপাশের ফসলি জমি ও চা বাগানের ক্ষতি সাধন করছে। ইতিপুর্বে উক্ত নদীতে অসাধু পাথর-বালু ব্যবসায়ী চক্রটি রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করায় নদীর অনেকাংশে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এসব গর্তের কারণে নদীর দুপাশে ফসলি জমি ও চাবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আশ পাশের কারখানা/কোম্পানী, চা বাগান ও জমির মালিক রক্ষার জন্য আবেদন করেন।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতের রায়ের নির্দেশে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে শতাধিক ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন এবং পাথর ও বালু উত্তোলণ বন্ধ হয়। এর পরও পাথর ও বালু খেকো চক্রটি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা লেন-দেনের মাধ্যমে গোপনে ডাহুক-নদীতে পাথর-বালু উত্তোলণ করে আসছিল। তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোপন সোর্সের মাধ্যমে বিষয় টি জানার পর পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি খাস জলমহাল ডাহুক নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর ও বালু উত্তোলণ এবং পরিবহনের সময় নদীতে অবস্থান কৃত ৬টি ট্রাক্টর ট্রলি জব্দ করা হয়েছে এবং জব্দ কৃত ট্রাক্টর টলি গুলোর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে ।
/ বাহার /