স্টাফ রিপোর্টার : ইকবাল বাহার
পঞ্চগড় জেলা কারাগারের শারমিন আক্তার নামে কারারক্ষীর বিরূদ্ধে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ করেছেন শাপলা শারমিন নামে গৃহবধূ। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের হাতে প্রায় তিন ঘন্টা বাড়িতে আটকে রাখা হয় শারমিন আক্তারকে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ পরিদর্শক রায়হান গিয়ে কারাগারের প্রধান কাররক্ষক সাইবুরের উপস্থিতিতে শারমিন আক্তারকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার রামের ডাংগা এলাকায় ।
এদিকে গৃহবধূ শারমিনের বাসায় চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে কারারক্ষী শারমিনকে আটক করে রাখেন। কারারক্ষী আটকের খবরে রামের ডাঙ্গার বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষরা এসে ভীড় করেন।
মারধরের শিকার শাপলা সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামী আবু তাহের একজন কারারক্ষী হওয়ার সুবাদে গেল পাঁচ বছর ধরে শারমিন আকতারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে আমার স্বামী আবু তাহেরের সাথে প্রায় ঝগড়া লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে শারমিন আক্তার আমার স্বামীর সাথে বিয়ে হয়েছে বলেও দাবী করেন। এক পর্যায়ে কারারক্ষী শারমিনের ঘরে আবু তাহের সন্তান দাবী করে ব্লাক মেইল করেন। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই বেলা ১১ টার দিকে কারারক্ষী শারমিন আমার বাড়িতে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। আমাকে মারধর করলে আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। আমি কারারক্ষী শারমিনের বিচার চাই।
অভিযুক্ত কারারক্ষী শারমিন আক্তার জানান আবু তাহেরের সাথে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই। আমাকে তার বউ মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে ডেকে এনেছেন। এজন্য আমি এখানে এসে আমি ভূল করেছি।
পঞ্চগড় জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান, কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে আটকের খবর শুনে প্রধান কারারক্ষী সাইবুর সহ তিন জন কারারক্ষীকে ঘটনাস্থলে পাঠাানো হয়। দুপুরের দিকে উদ্ধার করে জেলা কারাগারে আনা হয় তাকে। পরে শাপলা নামে গৃহবধূর অভিযোগে কারারক্ষী শারমিন আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্ত শারমিন নামে কারারক্ষীর বিরূদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হবে বলে জানান তিনি।