স্টাফ রিপোর্টার : ইকবাল বাহার
পঞ্চগড়ে বন বিভাগের কয়েকটি বাগানের ৩৮ টি লটের প্রায় অর্ধকোটি টাকার গাছ, টাকা জমা না দিয়ে কেটে নিয়েছে ঠিকাদারী তিনটি প্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড় বন আদালতের বন মামলা পরিচালক ফরেস্টার মধু সুদন বর্মনের যোগসাজসে গাছ কেটে নেওয়ার এ অভিযোগ উঠেছে। এতে বন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও লোকসানে পরার আশঙ্কায় সরকারের রাজস্ব খাত। যদিও সম্প্রতি এ বন কর্মকর্তাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে পঞ্চগড় থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে ঠাকুরগাঁও বন আদালতে বন মামলা পরিচালক হিসেবে পাঠানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পঞ্চগড় আটোয়ারী সড়কের ফজলুল হকের বাড়ি থেকে ছোটদাপ হতে দক্ষিনে শেষ সীমানা, রাধানগর ইউপির রসেয়া ব্রীজ হতে দক্ষিনে অবিনাশের বাড়ি পর্যন্ত, মালিগাঁও পাকা সড়ক হতে উত্তরে দিনমাড়া হাট মনমেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত মির্জাপুর সেনপাড়া তিনমাথা মোড় থেকে তালেবের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লটের গাছ কেটে নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর, গাছের লট বিক্রয়ের জন্য দরপত্র আহবান করে। দরপত্র দাখিলের সময় ছিল ১৩ নভেম্বর।
সেই দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দিনাজপুরের মেসার্স আলী টিম্বার, পঞ্চগড়ের মেসার্স পপুলার ফার্নিচার ও মেসার্স শাহারিয়ার কেবিনেট ফার্ম পায়। নিয়ম আছে দরপত্র অনুমোদনের পর ৭ দিনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করে ১৫ দিনের ভিতর লটের মূল্য, আয়কর, ভ্যাট পরিশোধ করে কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার মাধ্যমে লিখিত আবেদন করতে হবে। নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কিছু না করেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মধু সুধন বর্মন ও সহকারী বন সংরক্ষককে মেনেজ করে ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে আটোয়ারী উপজেলার ৩৮ টি লট কেটে ফেলছে। অভিযোগ রয়েছে মধু সুধন বর্মন লটের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে ঠিকাদারদের সাথে মিলিত হয়েছেন।
মেসার্স আলী টিম্বারের প্রোপাইটর মোহাম্মদ আলী গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা সব টাকা ব্যাংকে জমা করব।
অভিযুক্ত তৎকালীন এসএফএনটিসির কর্মকর্তা ফরেস্টার মধু সুধন বর্মন এর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন।
পঞ্চগড় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নূরুন্নাহার বলেন, যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে, যে এই কাজটা করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।