স্টাফ রিপোর্টার: কামরুজ্জামান রুবেল
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মুশুল্লী ইউনিয়নের লতিবপুর থেকে গত (২৯শে এপ্রিল) সোমবার রাতে আবু সিদ্দিক ও তার চাচাত ভাইয়ের গোয়াল ঘরের দরজা ভাঙ্গে ছয়টি গরু চুরি হয়। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) আবু সিদ্দিক নান্দাইল মডেল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪(৫)২৪ রুজু হয়।
বাদীর অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেলের নির্দেশে নান্দাইল থানার একটি চৌকস টিমের অব্যাহত,
অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গত (৩ মে) রাতে নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া ০৩টি গরুসহ মোট ০৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই আরও ০৪টি গরু উদ্ধারসহ মোট ০৮টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
এছাড়াও গরু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০১টি ইঞ্জিন চালিত ভটভটি জব্দ তালিকা মূলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এছাড়াও আরও১টি গরু উদ্ধার সহ মোট ৯টি গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
মোঃ আবু সিদ্দিক দৈনিক সময়ের পত্রিকাকে জানায়, "গত সমবার (২৯শে এপ্রিল) রাতে ১২টার সময় আমার গোয়াল ঘরে ০২টি গরু বেধে ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল ০৬:৩০ ঘটিকার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার গোয়াল ঘরের দরজা ভাঙ্গা গোয়ালের ০২টি গরু নাই! এই ঘঠনায় আমি হতভম্ব হয়ে ডাক চিৎকার করলে আমার আপন দুই চাচাতো ভাই এসে বিষয়টি দেখে।
পরবর্তীতে আমার চাচাতো দুই ভাই তাদের গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে তাদেরও গোয়াল ঘর থেকে আরও ০৪টি গরু নাই! পরে গত বৃহস্পতিবার এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, এস আই কামালের নেতৃত্বাধীন এ এস আই রফিকুল ও তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে মোট ৯ টি গরু উদ্ধার সহ দুই চোর কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের সদর ইউনিয়ন পাড়দা এলাকার মৃত আঃ হামিদের (গেনু মিয়া) ছেলে গোলাপ মিয়া (৪০) ও কিশোরগঞ্জের সদর ইউনিয়নের ভোলাই ইউনিয়নের পাতাইজান গাবতলী এলাকার ঝাল মাহমুদের ছেলে আঃ রাশিদ (৪২)। গ্রেফকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা আছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, থানা পুলিশের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে হারানো গরু উদ্ধার হয়েছে। এর জন্য ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার সহ নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ দৈনিক সময়ের পত্রিকাকে বলেন, চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করে গরুর মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং চোরদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।