পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
বাজার জুড়েই পোস্টারিং। পাশের স্কুল কক্ষে চলছে ভোটগ্রহণ। প্রার্থী আর সমর্থকদের পদচারণায় মুখর ভোটকেন্দ্রের আশপাশ। ভোটগ্রহণ চলে রীতিমত। এরপর ফলাফলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। পুরো বিষয়টি উপভোগ করেছে স্থানীয়রাও।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহাহাট বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের চিত্র এটি। শনিবার গলেহা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে দিনভর ভোট গ্রহণ চলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোট কেন্দ্রে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। কেন্দ্রের বাইরে প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থী ও সমর্থকরা। আর কেন্দ্রের ভিতরে রীতিমত- গোপন কক্ষ, ব্যালট আর ব্যালট বাক্স। ভোটার ভোট দিচ্ছে উৎসবমুখর হয়ে। নির্বাচন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে- প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টও। মোতায়েন ছিলো পুলিশ এবং চৌকিদার। নির্বাচন পরিচালনায় ছিলো নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ শেষে গণনা করে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ভোটাররা জানান, বণিক সমিতির নির্বাচন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচার প্রচারণা চলছে। ব্যবসায়ী এবং বাজারের উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছিলেন প্রার্থীরা। আজকে ভোট চলছে, জাঁকজমকপূর্ণ এই ভোট আমরা উপভোগ করেছি। এখানে কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ছিলোনা।
জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ হয়নি। সভাপতি, সহ-সভাপতি, ক্রীড়া সম্পাদক ও সাধারণ সদস্য- এই ৪টি পদে ভোটগ্রহণ হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১৩ জন। মোট ২৮১ জন ভোটারের মধ্যে ২৭৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এদিকে, ভোট গণনা শেষে সন্ধার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। সভাপতি পদে বিজয়ী হন রহমতুল্লাহ রোজি। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে সাইকেল প্রতীকে আজগর আলী এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে আবেদুল ইসলাম বিজয়ী হন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান। তিনি বলেন, বাজার পরিচালনা ও ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে প্রতি তিনবছর অন্তর নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে ঘিরে প্রার্থীরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও আদতে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। ভোটকে কেন্দ্র করে একদিনের জন্য সবাই উৎসবে মেতে ওঠেছে। নতুন কমিটি নতুনভাবে কাজ করবে, তারা বাজার এবং ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করবে- এই প্রত্যাশা করছি।