1. admin@daniksomoyerpotrika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একাত্তর আমরা ভুলতে পারিনা : মির্জা ফখরুল পঞ্চগড়ে অবৈধ বালুসহ নৌকা জব্দ করলেন এসিল্যান্ড মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড়ে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ”স্বপ্নছোঁয়া” এর শ্রদ্ধা পঞ্চগড়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ বাংলাদেশী তরুনিকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার, নিন্দা জানালেন মা-বাবা পঞ্চগড়ে বিজিবির অভিযানে ৮০০ কেজি ভারতীয় আলু জব্দ পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত নজরুল ইসলাম মোল্লা সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক অবিচ্ছেদ্য নেতৃত্বের উদাহরণ: এইচ এম রাজু আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার ম্যানেজার পঞ্চগড়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতা পঞ্চগড়ে দুই কারারক্ষীর অবৈধ সম্পর্কে নারী কারারক্ষী সাময়িক বরখাস্ত

বিএনপি বলছে জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে রাশিয়া

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ২২১ বার পঠিত

ষ্টাফ রিপোর্টার: জুঁই আক্তার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এবার ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। রাষ্ট্রদূতের আওয়ামীসুলভ বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি।

পাশাপাশি দলটি বলছে, তার এই অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামীসূলভ বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বলয়ের বাইরের সকল বাংলাদেশি নাগরিক আজ, নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে, নিজ দেশে পরাধীন। গত ১৫ বছর ধরে, গণবিদ্বেষী সরকার যে দুর্নীতি-দুঃশাসন ও দমন-দুর্বৃত্তায়ন চালিয়েছে, সমাজের প্রতিটি শ্রেণী ও পেশার মানুষ তাতে বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞান ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে। বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনেই দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত।

তাই বিএনপি রাশিয়াকে আহ্বান করছে, বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলে দলটি।

বিএনপি বলছে, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সরকারকে নির্বাচিত করেছে এবং ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে, যাদের অধিকাংশ ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামীসুলভ বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বলয়ের বাইরের সব বাংলাদেশি নাগরিক আজ, নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশে পরাধীন।

গত ১৫ বছর ধরে, গণবিদ্বেষী সরকার যে দুর্নীতি দুঃশাসন ও দমন-দুর্বৃত্তায়ন চালিয়েছে, সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষ তাতে বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বিএনপি আর বলছে, এটি প্রমাণিত যে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল না। বরং নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বলে অন্য পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র। হাজারো বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন নানা ধরনের অনিয়মের খবরে উদ্বেগের পাশাপাশি নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা হতাশা ব্যক্ত করে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বিবৃতি দেয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন যে বিশ্বাসযোগ্য, মুক্ত ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে, বাংলাদেশে তার কোনো মানদণ্ড মানা হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার জন্য বিকল্প ছিল না বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করে।

দলটি বলছে, একই ধারাবাহিকতায় কানাডা হতাশা ব্যক্ত করে যে, বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে, যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানায় তারা।

অন্যদিকে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়া বলে, এটি দুঃখজনক যে, নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলসমূহ অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশে অংশ নিতে পারেনি। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানায়, যেন তা মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রচারকে সমর্থন করে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা, প্রচ্ছদ, ছবি, ভিডিও, কপিরাইট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। © স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক সময়ের পত্রিকা।
Theme Customized By Arman IT