নিজস্ব প্রতিবেদক:
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা বলেন, ১৭ বছর লুটপাট করেছেন, নতুন করে আর লুটপাট করতে আসবেন না। লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের আর কোন সুযোগ নেই। বিডিআর হত্যাসহ বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে যে গণহত্যা হয়েছে সকল হত্যার বিচার করতে হবে।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও প্রখ্যাত সাংবাদিক জননেতা আনোয়ার জাহিদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জননেতা আনোয়ার জাহিদ কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। আমরা সেই আদর্শকে ধারণ করে পথ চলছি। ৩৪ বছরের এই পথ চলায় আমাদের বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের কেউ আটকাতে পারেনি। আমরা কোথাও মাথা নত করিনি।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের সাথে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করতে হবে। দুর্নীতির মূল উৎপাটন করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে তারুণ্যের নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা অনেক বছর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।
মামলা, হামলা, নির্যাতনসহ অনেক কিছুই সহ্য করেছি, কিন্তু স্বৈরাচার সরকারকে হঠাতে পারিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শত রক্তের শ্রোতের মধ্যদিয়ে বিজয়ী হয়েছে ৫ই আগস্ট একটি নতুন বাংলাদেশের। আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনীতির যে পচন ধরেছিল সেই পচন ও দুষণমুক্ত করতে হলে কালো টাকার মালিকদেরকে রাজনীতিতে বয়কট করতে হবে।
দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদেরকে সামনে আনতে হবে। আপনারা নিশ্চই জানেন, আমাদের নেতা আনোয়ার জাহিদ মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু ঢাকা শহরে তার কোনো বাড়ি ছিল না। জীবনের শেষ দিকে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তিনি অকালেই চলে গেছেন, কিন্তু বর্তমান রাজনীতিবিদরা রাতারাতি কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন।
তাদের মধ্যে দেশপ্রেমিক কোন বালাই নেই। নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে কঠিন ও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনডিপি’র মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মুনির, খন্দকার জাহিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম আবু তালেব, জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজু, সহ-প্রচার সম্পাদক আবু হানিফ, কামাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয় এবং আহতের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জননেতা আনোয়ার জাহিদসহ এনডিপির যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।