1. admin@daniksomoyerpotrika.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একাত্তর আমরা ভুলতে পারিনা : মির্জা ফখরুল পঞ্চগড়ে অবৈধ বালুসহ নৌকা জব্দ করলেন এসিল্যান্ড মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড়ে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ”স্বপ্নছোঁয়া” এর শ্রদ্ধা পঞ্চগড়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ বাংলাদেশী তরুনিকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার, নিন্দা জানালেন মা-বাবা পঞ্চগড়ে বিজিবির অভিযানে ৮০০ কেজি ভারতীয় আলু জব্দ পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত নজরুল ইসলাম মোল্লা সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক অবিচ্ছেদ্য নেতৃত্বের উদাহরণ: এইচ এম রাজু আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার ম্যানেজার পঞ্চগড়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতা পঞ্চগড়ে দুই কারারক্ষীর অবৈধ সম্পর্কে নারী কারারক্ষী সাময়িক বরখাস্ত

বেগম জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমন করতে পারবেন না।

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচ.এম.বিল্লাল হোসেন রাজু

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। এ সংক্রান্ত আবেদনে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে।বুধবার (২০ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আগের শর্তে (বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে), তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।এ নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে আবেদন ছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মতে, তার (খালেদা জিয়া) সাজা স্থগিত রেখে দুটি শর্তে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটা সাতবার বাড়ানো হয়েছে। আজ একই শর্তে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হচ্ছে। আমি এ মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনই ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি।

বেগম জিয়ার পরিবারের আবেদনে ছিল তার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সু চিকিৎসা- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, আমি এ ব্যাপারে দুদিন আগেও আপনাদের বলেছি। যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে আবেদন ছিলো সেটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন সে আবেদনের উপরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই, শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সে কারণে আমি মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলে সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠাচ্ছি।

মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে আছেন। মানবিক কারণে তাকে বিদেশে পাঠানো যাবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, না, যাই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। ‌যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, সে আইনে এ (বিদেশে পাঠানোর) সুযোগ নেই।

গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরে সে আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হবে।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে গত ১৪ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর আগে ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ সাতবার বাড়ানো হয়।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা, প্রচ্ছদ, ছবি, ভিডিও, কপিরাইট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। © স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক সময়ের পত্রিকা।
Theme Customized By Arman IT