ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর। এই ঘটনায় হত্যাকারীর ফাঁসি দাবিতে গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর আলী খয়রাতি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি এলাকার কলম খয়রাতির ছেলে। ঘাতক প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দি এলাকার সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাড়াকান্দি গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে আসমা বেগমের সাথে প্রথমে রমজান মাতুব্বরের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ থেকে ৭ বছর পর রমজান মাতুব্বর তার স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। এর দুই বছর পরে আসমা বেগম আকবর আলীকে বিয়ে করে। কিছুদিন পরে রমজান মাতুব্বর ফিরে এলে দ্বিতীয় স্বামী আকবরকে তালাক দিয়ে রমজানকে ফের বিয়ে করে। আবার কিছুদিন পর রমজান চলে গেলে ফের আকবরকে বিয়ে করে বসবাস করছিলেন আসমা। এই ঘটনা নিয়ে রমজানের সাথে আকবরের শত্রুতা চলে আসছিল।
নিহতের পুত্রবধূ মঞ্জিলা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর আকবর আলী খয়রাতি বাড়ির উপর মুদি দোকানদারি করে সেখানে থাকতেন। হঠাৎ দুপুরে আমার শাশুড়ির প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আকবর আলীকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আমার শ্বশুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার শাশুড়ি ও আমার স্বামী ভাঙ্গা হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় আমার শ্বশুর আকবর আলী মারা যায়। আমি হত্যাকারীর বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত মজুমদার বলেন, আমরা জানতে পারি আকবর আলী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে রমজান আলী নামের একজন। হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল খাড়াকান্দা গ্রামে পৌঁছাই। মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সোমবার আকবর আলীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।