নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজু
মানুষের ভিড়, হৈ-হুল্লোড়, তরুণ-তরুণীদের ঘোরাফেরা, ছবি-সেলফি আর বইয়ের কেনাকাটায় পুরোদমে জম জমাট। অমর একুশে বইমেলা সকাল ১১টায়, মেলা শুরুর পর মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও বিকেল থেকে তা বাড়তে থাকে। এরপর সন্ধ্যা নামতেই যেন পুরো এলাকাজুড়ে ঢল নামে মানুষের।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। মেলায় আগত পাঠক-দর্শনার্থীরাও বলছেন, সাধারণত এমন দৃশ্য মেলার শেষের দিকে অথবা মেলার সময় অর্ধেক গড়ানোর পরে দেখা যায়। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ার সুবাদে এবং পরিবেশও অনুকূলে থাকার কারণে বইমেলায় মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তবে এখনও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বেশ কয়েকটি স্টলের সাজসজ্জা এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে বসেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অনুযায়ী ২৩ তারিখেই স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সময় কোনো অজুহাত নয়। অধিকাংশ প্রকাশনীগুলোই প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণ করে ফেলছে। তাদের তো সময় লাগেনি। এরা কেন এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বইমেলায় ছোট-ছোট স্টলগুলোর কাজ কর্মের। বিষয়টি মনিটরিং এর জন্য আমি লোক পাঠিয়েছি, আমি তারা রিপোর্ট দিলেই সিদ্ধান্ত নেব। উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়।
একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন রয়েছে।