নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ক্ষুব্ধ করেছে বাংলাদেশকে। এর জেরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানাবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। গতকালও থেমে থেমে সীমান্তের ওপার থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে রাখাইনের দুই পক্ষের সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গত দুই দিনে মিয়ানমারের ১০৬ জন সীমান্তরক্ষী বান্দরবানে পালিয়ে এসেছেন। তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বান্দরবানে আশ্রয় নেওয়া ওই সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ (গতকাল) সকালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। তাদের সীমান্তরক্ষীদেরও ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদের উড়োজাহাজ, নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। গতকালও থেমে থেমে সীমান্তের ওপার থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে রাখাইনের দুই পক্ষের সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট রক্ষিত আছে। তারা যেহেতু পালিয়ে এসেছেন, তাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার নাফ নদী ব্যবহার করে নৌপথ দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তাদের সীমান্তরক্ষীদের (বিজিপি) ফিরিয়ে নিতে চায়।