ঢাকা প্রতিনিধি: সাবিনা ইয়াসমিন
গেলো মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। শুধু তাই- ই নয়, এই বিষয়ে তিনি আদালতে রিট করেছেন। এই রিটে একই সঙ্গে নির্বাচিত মিশা – ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আজ (১৫ মে বুধবার) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এই রিট করেন।
এই বিষয়ে জানতে বর্তমানে মেয়ের সঙ্গে আমেরিকায় অবস্থানরত নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে নিপুণ বলেন, আমি নির্বাচনের পরের দিনই এই বিষয়ে রিট করতাম। কিন্তু নির্বাচনের পরিশ্রম এবং নির্বাচনের রাতে নির্ঘুম থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম, তাই ওই সময় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এরপর মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন এর জন্যে দ্রুত আমেরিকায় চলে আসতে হয়। আমি খুব দ্রুত শেষে ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবো।
নিপুণের দাবি এবারের নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনের রাতে কমিশন থেকে আমাকে ফোন করে বলছিলো আমি যাতে বাসায় চলে যাই। মিশা – ডিপজল পানেলের চেয়ে আমি অনেক পিছিয়ে আছি। উনি ফলাফল ঘোষণার আগে রাত একটায় কীভাবে এটা জানলেন ? সকালে যখন ফলাফল ঘোষণা হলো তখন দেখলাম আমার সাথে ডিপজল ভাইয়ের মাত্র ১৬ ভোটের পার্থক্য। আমাদের ইসি ও পোর্টফোলিও থেকে টোটাল ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সেগুলো আমাকে দেখানো হয়নি। তারপর আমি খবর পেলাম আপিল করে লাভ হবে না। কারণ আপিল বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। তাই আমি দেরিতে হলেও বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা – ডিপজল প্যানেল। গেলো ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের পরের দিন সকালে অর্থাৎ ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। অন্যদিকে, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সামসুল আলম।