ষ্টাফ রিপোর্টার: জুঁই আক্তার
মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের (এমপি) স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে।
উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই, ভাগনেসহ ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিন আরা ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাগনে মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চেয়রাম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অপর প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম ও রেহানা আক্তার। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নেই।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
তবে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী থাকলে তা আইনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেসার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।