নিজস্ব প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই, শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আমেজ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, দেশে প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসে, তবে এবারের উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক থাকবে না। বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
এদিকে সময় যতই ঘনিয়ে আসছে সাথে সাথে বরগুনা জেলার, পাথরঘাটা উপজেলায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। পাথরঘাটা উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রফিকু ইসলাম রিপনের নাম শোনা যাচ্ছে। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লায় ও হাটবাজারে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠেছে রিপন মোল্লার নাম, দলমত নির্বিশেষে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় সাধারণ মানুষ উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে দেখতে চাচ্ছে মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন কে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি সফল চেয়ারম্যান। এলাকায় দলমতের উর্ধ্বে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব, দলও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিত প্রান। জনবান্দব নেতা এবং পরিক্ষিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে অর্জন করেন মানুষের ভালোবাসা, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন আমার রাজনীতি মুলত জনগণের জন্য। পাথরঘাটা উপজেলা’র নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করে, সকল সেন্টারে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করে সফলতার সাথে কাজ করেছি। পরে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন না দেয়ায় আমি নির্বাচন করিনি, বিগত পাঁচ বৎসরে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যার্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই নির্বাচনে প্রতীক না থাকায়, এলাকার মানুষ তাঁদের মনের মত প্রার্থী বেছে নিবেন। তাই জনগণের বিপুল পরিমাণ সারা ও সমর্থন পেয়ে আবারও নির্বাচনের জন্য জনগণের মাঝে আছি। সাধারণ জনগণের সাক্ষাৎ কালে পাথরঘাটা উপজেলায় কাঠালতলি ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উজ্জ্বল মজুমদার বলেন, রফিকুল ইসলাম রিপন ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমারা সকল সরকারি ও জাতীয় অনুষ্ঠানে আনন্দ উপভোগ করেছি। সে সবসময় সাধারণ মানুষের মাঝে থাকেন, জনগণের খোঁজ খবর নেন তার আমলে আমরা সকল সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। আমরা আবার তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই, স্থানীয় লোকজন বলেন রফিকুল ইসলাম রিপন ভাই সাদা মনের মানুষ। সবসময় হাসি খুশি থাকেন অন্যায়কে প্রতিবাদ করেন, তাকেই আবার দরকার এই উপজেলায়। নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ব্যাবসায়ী জাকারিয়া বলেন, আমরা অনেক নেতা দেখেছি সকল প্রার্থী দেখেছি কিন্তু যোগ্য প্রার্থী রিপন ভাই তার সততা এবং সৎ সাহস আমাদের মনকে কেরে নিয়েছে। সকল এলাকায় তার নামই শুনি, কালমেঘা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মনির হোসেন বলেন রফিকুল ইসলাম রিপন ভাইকে সকল বিপদ আপদে কাছে পাই। তিনি সকলের সাহায্য সহযোগিতা করেন তাই চারদিকে শুধু তারাই নাম শুনতে পাই, রফিক ইসলাম রিপন মোল্লা আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতি মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ব্যক্তিত্ব। তিনি মহান মুক্তিযোদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাহজাহান মিয়া’র একমাত্র সুযোগ্য সন্তান, তাকে আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এলাকার জনগণ। পাথরঘাটা উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তায় আলোচিত একটি নামে পরিনত হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম রিপন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী, তার নির্বাচনীয় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী সহ জনসাধারণের মাঝে চলছে জল্পনা কল্পনা। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, চেয়ারম্যান হিসেবে সৎ সাহসী ও দক্ষ কর্মী বান্ধব এমন জনপ্রতিনিধি পাওয়া। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক না থাকায় জনগণ তাদের মনের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে রফিকুল ইসলাম রিপনকে, তিনি পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন। পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন সফলতার সাথে। পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে দীর্ঘদিন, নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচন সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, বিপুল সংখ্যক ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
রিপন মোল্লা পাথরঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ধর্মীয় স্কুল কলেজের উন্নয়ন কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। তিনি একজন দানশীল ব্যাক্তি, শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক ও ভালো মনের মানুষ হিসেবে সর্মহলে সুপরিচিত ও সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে, পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার জন্য তার পিতা জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া। পাকিস্তানের হানাদর বাহিনী নির্মভাবে গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন, তখন রফিকুল ইসলাম রিপন তার মায়ের চার মাসের গর্ভে ছিলেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে সকলে তাকে পবিত্র ভোট দিলে তিনি, পাথরঘাটা উপজেলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন বলে সচেতন মহলের ধারনা। জনপ্রিয়তার শীর্ষ থাকা রফিকুল ইসলাম রিপনের, জনপ্রিয়তা নির্বাচনীয় পলিসি মেকিংয়ে তার বিকল্প নেই। জনসম্পৃক্ত কর্মী বান্দব নেতা থেকেই তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন, শতাধিক স্কুল কলেজ মেরামতের কাজ সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজে। টেলিভিশন, ল্যাপটপ, স্কুল ব্যাগ, ফ্যান, টেবিল চেয়ার, অসহায় প্রতিবন্ধীদের কম্বল বিতরণ সহ বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতার পুরুস্কার প্রদান করে আসছে। গরীব আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয় এমন মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্যে করে আসছে, ধর্মীয় ঈদ পূজা উদযাপনে নগদ আর্থিক সাহায্যে ও শাড়ি কাপড় বিতরন করে আসছে। এছাড়াও তিনি ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, জাতীয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় বিশেষ দিনে নিজ উদ্যোগে দলের পক্ষে আর্থিক সাহায্য প্রদান সহ ভুমিকা রেখে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের মোকাবেলায় দলের কর্মী হিসেবে, আন্দোলন সংগ্রামে দলের সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রুপকল্পে ২০৪১ সাল বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাছেন, রফিকুল ইসলাম রিপনকে সাধারণ জনগণ রাজনীতির অবদানে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। এটাই পাথরঘাটা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবি, সৎ সাহসী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে এই উপকূলীয় এলাকাবাসীর খুবই প্রয়োজন।