1. admin@daniksomoyerpotrika.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জিসাস নেতৃবৃন্দের জরুরী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সভাপতি ইভা পঞ্চগড়ে শিশু-কিশোর উৎসব বিতর্কিত দুজনকে কেন উপদেষ্টা বানানো হলো জয়নুল আবেদীন ফারুক গণ প্রকৌশল দিবস পালন করেছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সংগঠন আইডিইবি’র আলোচনা সভা ১৫ বছর পরে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলো সায়েক এম রহমান পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ জাসদ এর জেলা কার্যালয়ে মত বিনিময় সভা পঞ্চগড়ে সাবেক রেলমন্ত্রীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন জিয়া পরিষদের সভায় সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার রাজনৈতিক বক্তব্য পঞ্চগড়ে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেত্রী আকতারুন নাহার সাকীর বিরুদ্ধে

রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক নিয়ে বন বিভাগের জন সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশনা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ৫৬ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশর ২৭টির বেশি জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে অনেকে নানাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, অনেকে প্রচার করছেন যে সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেরার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে ফেসবুকে। এমন অবস্থায় ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। রাসেল’স ভাইপার সাপ মারতে পারলে প্রতিটি সাপের জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন, তার একদিনের ব্যবধানে ২১ তারিখ সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সাপ জ্বীবিত অবস্থায় ধড়তে পারলে পুরুস্কৃত করা হবে।

সাপের আক্রমণে আতঙ্কে দিন পার করছেন দেশের মানুষ, এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত তুলে ধরেছে বাংলাদেশ বন বিভাগ।

বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়েনি। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

রাসেল’স ভাইপার স্বভাবগতই কিছুটা তেজী, এটি মোটে রঙ্গের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষ হিসেবে আমরাই দায়ী, যে সকল প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ,গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেল’স ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসকল শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপার অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে, বন বিভাগের নির্দেশনা উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো।

যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন। যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুণ। সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা, প্রচ্ছদ, ছবি, ভিডিও, কপিরাইট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। © স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক সময়ের পত্রিকা।
Theme Customized By Arman IT