স্টাফ রিপোর্টার : ইকবাল বাহার
পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। মামলায় দুইজন সাবেক সংসদ সদস্যের নামও রয়েছে। এছাড়া নাম না জানা আসামী রয়েছে আরও ১৫০ জন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন মো. মনু (৬৭) নামে এক ব্যক্তি। তিনি জেলা সদরের উত্তর দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং গুমের শিকার ভুক্তভোগির বাবা।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন- পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা ও মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারী, জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, পঞ্চগড় পৌর আ. লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর উজ্জল প্রমূখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. মনুর ছেলে আলামিন পেশায় রিক্সা চালক। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন কতিপয় আসামীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনে হিচেড়ে নিয়ে যায় তারা। তখন থেকেই আল আমিনের সন্ধান নেই।
মামলার বাদী মো. মনু বলেন, আল আমিনের সঙ্গে সেদিন যারা ছিলো তাদের সঙ্গে কথা বলেই মামলা করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতে, আমি ধারণা করছি আমার ছেলেকে হত্যার পর তার লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম মাসুদ পারভেজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।