ষ্টাফ রিপোর্টার:
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহিরুল হল মিলনায়তনে উপমহাদেশের কিংবদন্তি বংশীবাদক একুশে পদক প্রাপ্ত উস্তাদ আজিজুল ইসলাম বই “মুক্তিযুদ্ধ ও বাঁশিওয়ালা নাবিকের স্বদেশফেরা” এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বইয়ের সম্পাদক ও বিদ্যাভবন গবেষণা কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার দেওয়ান মামুনূর রশিদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড.মো.হুমায়ুন কবির মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, তথ্য কমিশনার শহিদুল আলম ঝিনুক, কবি ও ফোকলোর গবেষক ড. শিহাব শাহরিয়ার, প্রখ্যাত ছড়াকার আ.ফ.ম.মোদাচ্ছের আলী, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড.শাহাদাৎ হোসেন নিপু, মাসিক সরগম এর সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন, লেখকের ছোট ভাই সাহিদুল ইসলাম হেলাল, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
উস্তাদ আজিজুল ইসলাম বলেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঁশিওয়ালা নাবিকের স্বদেশফেরা বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। যারা পিছনে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন আজ যারা সামনে থেকে উৎসাহ প্রদান করেছেন সকলের প্রতি আমার ব্যক্তিগত পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন ৬০ বছর ধরে বাঁশের লাঠি নিয়ে সুর তৈরী করে যে সংগ্রাম করছি সেই সংগ্রামে নতুন একটি বই সংযুক্ত হল। অচিরেই আমার জীবনের ঘটে যাওয়া সব বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আর একটি বই লিখব।
বক্তারা বলেন নিভৃতচারী একুশে পদক প্রাপ্ত বংশীবাদক উস্তাদ আজিজুল ইসলাম সমুদ্রগামী জাহাজের একজন ক্যাপ্টেন হয়ে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সংগ্রামী অধ্যায়কে নিয়ে তিনি বইটি রচনা করেছেন। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠক বুঝতে সক্ষম হবেন যে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালিরা কতটা ঝুঁকি নিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন। আগামী প্রজন্মের কাছে বইটি হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের এক অনবদ্য ইতিহাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান ভাষা সৈনিক ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। ২৩/০২/২০২৪অনুষ্ঠানে বাঁশি পরিবেশন করেন প্রখ্যাত বংশীবাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত উস্তাদ আজিজুল হক। তবলায় বিশ্বজিৎ কুমার নট্ট, তানপুরায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন রুপা নুর ও নিপা আক্তার।